মোঃ হাসানুর জামান বাবুঃ বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি। এর মধ্যে তরুণ জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। যে কোনো দেশের মূল চালিকাশক্তি হলো এ যুবশক্তি।
কিন্তু দেশে তরুণদের বড় একটা অংশ হতাশাগ্রস্ত। বেকারত্বের কশাঘাতে জর্জরিত এ যুবসমাজ অনিশ্চিত এক গন্তব্যের পথে ধাবমান। অনেক যুবক হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। সার্বিক দিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, তরুণরা অবসাদগ্রস্ত হয়ে সব দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে। উচ্ছল তারুণ্যের কেন এই পশ্চাৎপদতা? সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, কর্মচঞ্চল ও উচ্ছল তারুণ্যে বিষাদের ছায়া এঁকে দিয়েছে দেশের অপরাজনীতি। অতীতের রাজনীতি আর বর্তমানের রাজনীতিতে অনেক ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে। আগে জাতীয় রাজনীতি ছিল রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি ও উপাদান।
কিন্তু বর্তমানে রাজনীতি হয়ে গেছে অর্থ উপার্জনের সহজ মাধ্যম। আগে ছাত্ররাজনীতি ছিল দেশ পরিচালনার বড় নিয়ামক। আমাদের সময় তখন মেধাবী তরুণ-তরুণীরা রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করত। মানবতার জন্য তারা স্বেচ্ছাশ্রম দিত। তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য তখন সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক তারা বাহবা ও স্বীকৃতি পেত। তখনকার রাজনীতির অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের দেশ গড়ার যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলা। লেখাপড়ার পাশাপাশি গান, কবিতা আবৃত্তি, খেলাধুলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ছিল তাদের বিচরণ। আজকের ছাত্ররাজনীতিতে নানা দৈন্য ভর করেছে। সেখানে আজ জেঁকে বসেছে সুবিধাবাদ, ভোগবাদ আর অজ্ঞতা জ্ঞানহীনতাও আত্মকেন্দ্রিকতা।
আজকের রাজনীতিতে সুস্থধারার পৃষ্ঠপোষকতা স্বপ্নের মতো অধরা হয়ে গেছে। এখানে না আছে সুস্থধারার সাহিত্য, না আছে সুস্থ সংস্কৃতি আর না আছে ভদ্রতা। আজকের যুবকদের গ্রাস করছে মাদক, চুরি, চাঁদাবাজি আর টেন্ডারবাজি। আজ না আছে খেলাধুলা, না আছে খেলার মাঠ, না আছে কবিতা-ছড়ার আড্ডা আর না আছে সাহিত্যচর্চা। যেটুকু আছে তাতে রয়েছে দলবাজি আর নৈতিকতাহীন উপাদান। দলীয় অন্ধত্ব আর নোংরা দলবাজি সমাজটাকে নিচে নামিয়ে দিয়েছে। নীতিভ্রষ্ট রাজনীতির যাঁতাকলে নিষ্পেষিত আজকের তরুণসমাজ। ফলে গ্রামেও শহরের অলিগলিতে সৃষ্টি হয়েছে কিশোর গ্যাং কালচার। বারো-তেরো বছরের কিশোররা তুচ্ছ কারণে খুনের মতো জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে!এর কারন হচ্ছে যুবসমাজ কে সাহিত্য সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া চর্চার সুযোগ করে দিতে আমরা পাড়ছিনা।আমরা যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম তখন প্রতিমাসে নিজেদের এবং আশপাশের যুবসমাজকে অবক্ষয় মুক্ত রাখতে একটা না একটা, হয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নাহয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা নাহয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর মতো আসরের আয়োজন করতাম আমার নিজ এলাকায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য! গত পনের বছরে আমি আমার এলাকায় কোন ছাত্রনেতা বা রাজনৈতিক নেতাকে দেখলামনা এগুলোর আয়োজনে একটু মনোনিবেশ করতে।আমার এলাকা একটি উদাহরণ মাত্র! সারা দেশের চিত্র আজকে একই রকম।যার কারনে সৃষ্টি হচ্ছে কিশোর গ্যাং কালচার,যুবসমাজ যাচ্ছে অবক্ষয়ের পথে,বাড়ছে খুন খারাপি।
আর এসব ঘটছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। প্রশাসন এসব কিশোরকে নিয়ে মোটেও ভাবছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের উন্নয়নের জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন তরুণসমাজের নৈতিক উন্নয়ন। তাদের নৈতিক উন্নয়ন ছাড়া দেশের কোনো উন্নয়নই টেকসই হবে না।
দেশের যুবসমাজের বৃহৎ একটি অংশ বেকার। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তাদের দেশের উন্নয়নে অংশীদার করা প্রয়োজন। এসব তরুণকে বেকার রেখে উন্নয়নের স্লোগান একেবারেই বেমানান। বেকার তরুণসমাজের কাছে এসব উন্নয়ন সংস্কারের বুলি একেবারেই গুরুত্বহীন। দেশে উড়াল সড়ক হয়েছে , বড় বড় সেতু নির্মাণ হয়েছে, হয়েছে মেট্রোরেল গত পনের বছরে। এগুলো দেখিয়ে দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হয়েছে বলা হচ্ছে। এতকিছু করা হলেও দেশের ৪ কোটি বেকার যুবক নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। অথচ তারা কাজ করতে চায়।
এই কর্মহীন যুবকরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত, হতাশাগ্রস্ত। তারা পরিবার, দেশ ও রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে বাঁচতে চায় না। এই লেখাটি লেখার দুইদিন আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা একজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট হতাশা ব্যক্ত করে বলেছেন, আংকেল তিন বছর হলো একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স পাশ করেছি, আমার সিজিপিএ ৩.৯১। কিন্তু বেকার জীবনের কাছে হার মানতে বাধ্য হচ্ছি! আমার কাছে দেশের উন্নয়ন সংস্কার সব সংবাদ অর্থহীন। আমি একটি সম্মানজনক চাকরি চাই। দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে আমিও ভূমিকা রাখতে চাই। কিন্তু আংকেল হতাশার ব্যাপার হলো, দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাকে নিয়ে মোটেই ভাবে না।
রাষ্ট্র ও সরকার আমাদের মতো যুবসমাজকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করছে না।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটা ছাত্ররাজনীতির নামে নোংরামিতে ছেয়ে গেছে, কিছুু যেন করার নেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। অথচ রাজনৈতিক পরিচয়েই শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হয়। আবার অন্যান্য বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রেও দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ অবস্থায় আমাদের কী হবে?’
আমাদের দেশে যখন কোটি কোটি গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বেকার জীবনের ঘানি টানছে, তখন বিদেশ থেকে শ্রমিক আমদানি করা হয়েছে দেশে। বর্তমানে প্রায় ৪৪টি দেশের বিদেশি নাগরিক দেশে কর্মরত আছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, এসব বিদেশি নাগরিকের অনেকেই কাজ করছেন অবৈধভাবে। তাদের অনেকের ওয়ার্ক পারমিট নেই। শুধু দেশের পোশাক খাতেই ১০ থেকে ১৫ লাখ বিদেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ ভারতীয়, ২৫ শতাংশ শ্রীলংকান, ১৩ শতাংশ চীনা, ৮ শতাংশ দক্ষিণ কোরীয়, ১.৭ শতাংশ তুর্কি এবং ১ শতাংশ পাকিস্তানি। এ শিল্প খাতের সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, নিয়োজিত সব শ্রমিক মাসে জনপ্রতি ২ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। বছরে এসব নাগরিকের মাধ্যমে বিদেশে চলে যাচ্ছে ২০ হাজার কোটি থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। দেশে কোটি কোটি যুবক বেকার থাকতে এ তথ্য সত্যিই দুঃখজনক।
অথচ দেশকে এগিয়ে নিতে তারুণ্যের কোনো বিকল্প নেই। আজকের তরুণ-তরুণীরাই আগামীর দেশ গড়ার কারিগর,এই তরুণ তরুণীর আন্দোলনের ফলে পতিত স্বৈরাচারী বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে । কাজেই এই তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া সময়ের অনিবার্য দাবি। আজ দেশে কোটি কোটি যুবক বেকারত্বের অভিশাপে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে; কিন্তু কর্মসংস্থান বাড়ছে না। ফলে দেশ এগিয়ে গেলেও মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক তথ্যমতে, দেশে প্রতিবছর ২৭ লাখ যুবক-যুবতী কর্মবাজারে প্রবেশ করছে। এর মধ্যে চাকরি পাচ্ছে মাত্র ৬ লাখ। বাকি ২১ লাখ তরুণ বেকার জীবনযাপন করছে। বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের হার সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৫০ জনই বেকার বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে জানা যায়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৩ কোটি, যা কয়েক বছরে দ্বিগুণ হয়ে ৬ কোটিতে দাঁড়াবে। এর অর্থ হলো, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশই বেকার হয়ে পড়বে। অপরদিকে ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এক পরিসংখ্যানে বলেছে, বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ গ্রাজুয়েটই বেকার। অথবা যে কর্মে ওই গ্রাজুয়েট নিযুক্ত, সে কর্মে তার গ্রাজুয়েট হওয়ার দরকার ছিল না। বেকারত্বের আরেকটি কারণ হলো, দেশের অধিকাংশ যুবক উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী নয়। তাদের অধিকাংশই সরকারি চাকরির প্রত্যাশী। কিন্তু কেউই চাকরি সৃষ্টি করতে চায় না। ফলে একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করে নতুন করে আবার চাকরির জন্য পড়াশোনা করতে থাকে। এজন্য তাকে আরও কয়েক বছর সময় পার করতে হয়। তারপরও অনেকে তার প্রত্যাশিত চাকরিটি পায় না।
কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি না পেয়ে যুবকটি তখন মনের দিক থেকে বেপরোয়া হয়ে পড়ে। ওদিকে পাশের বাড়ির অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী একজন তরুণ রাজনীতির সুবাদে সমাজে একটা অবস্থান করে নিয়েছে। এটি দেখে সে আরও বেশি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। একজন যুবকের জীবনে বিয়ে একটি অলঙ্ঘনীয় বিধান হলেও বেকার অবস্থায় সেটা তার কাছে অধরাই থেকে যায়। আর আমাদের সমাজে অলিখিত আইনই হয়ে গেছে যে, চাকরি নেই তো বিয়ে নেই! অন্যদিকে মেয়েদের বাবারাও বেকার যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হয় না। এ অবস্থায় বেচারা যুবকের কপালে কাঙ্ক্ষিত বিয়েটি আর জোটে না। তখন তার মনের ভেতরে এক ধরনের দ্রোহ তৈরি হয়। হতাশাগ্রস্ত যুবকটি তখন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিভিন্ন মাদকের সংস্রব তাকে আসক্ত করে ফেলে। মনের ভেতরে জঙ্গি মানসিকতা তৈরি হতে থাকে। যুবকটি তখন বিভিন্ন বাঁকা পথের আশ্রয় গ্রহণ করে। জীবনের প্রতি তার চরম নৈরাশ্য সৃষ্টি হয়। রাজনৈতিক নেতাদের টাকা আর ক্ষমতা দেখে সে অনৈতিক লালসার আগুনে দগ্ধ হতে থাকে। অগত্যা সে রাজনৈতিক বড় ভাইদের ভাড়াটিয়া গুন্ডা হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে।
দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হয়েছে। রাজনীতি থেকে সততা, মূল্যবোধ ও ত্যাগের মানসিকতা নির্বাসিত হয়েছে। আজ আমরা নষ্ট রাজনীতিকদের মুখে শুনতে পাই মূল্যবোধের কথা! অথচ তারাই মূল্যবোধকে সমাজ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তারাই সমাজে অবক্ষয়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এ রাজনীতি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের রেওয়াজ সৃষ্টি করেছে। দুষ্টু চক্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। উলটো এটাকে অস্বীকার করে অসৎ লোকদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। দেশের সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজ মূল্যবোধশূন্য অবক্ষয়ে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষা-গবেষণা শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে। অনার্সে ভর্তি হয়েই একজন শিক্ষার্থী বিসিএস ক্যাডার হতে চায়। এ কারণে দেশে তেমন কোনো গবেষণা হচ্ছে না। বিসিএস ক্যাডার হয়ে শুধু টাকা রোজগারের ধান্ধাবাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক জায়গাটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হলে হলে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ছড়িয়ে পড়ছে। আর এসবই ঘটছে রাজনৈতিক বড় ভাইদের ছত্রছায়ায়। আজ শিক্ষকরা তরুণ শিক্ষার্থীদের হাতে নিগৃহীত হচ্ছে। অথচ এর কোনো সরল সমাধানের পথ আমরা খুঁজছি না।
এ অবক্ষয় আমাদের দেশে একদিনে তৈরি হয়নি। বিগত প্রায় চল্লিশ বছর ধরে একটু একটু করে এটা তৈরি হয়েছে হলেও বিগত পনের বছরে এটা মহামারি আকার ধারণ করেছে। সমাজের প্রভাবশালীরা প্রতিদিন একটু একটু করে এটাকে সৃষ্টি করেছে। এসব নিয়ে কর্তৃপক্ষকে ভাবার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। বিনয়ের সঙ্গে প্রশ্ন করছি, আপনারা কি এ ব্যবস্থার উত্তরণ চান? আমাদের মনে রাখতে হবে, সমাজকে ধ্বংস করতে যত সময় লেগেছে, পুনর্গঠনে তার চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগবে। কর্তৃপক্ষকে বলব, সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করুন। তরুণদের দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করুন। তাদের উদ্যোক্তায় পরিণত করতে ভূমিকা রাখুন। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করুন। আন্তরিক হলে আজ থেকেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
লেখক:মিডিয়া কর্মীও ক্রীড়া সংগঠক।
Post a Comment