চাঁপাই ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের তিন বছর পূর্তি উদযাপন

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ এসো করি রক্তদান, হাসবে রোগী বাঁচবে প্রাণ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে রক্তদাতা সংগঠন চাঁপাই ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

সোমবার (৯ জুন) শহরের উপজেলা পরিষদের হলরুমে দিনব্যাপী এ আয়োজনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছাসেবী মিলনমেলা ও ৫ জন ব্যক্তিকে গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

সাদা মনের মানুষ জিয়াউল হক, 

শান্তি নিবিড় পাঠাগার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ নাহিদ উজ্জামান,

বৃক্ষ প্রেমিক কার্তিক প্রমানিক, মোঃ আব্দুল গনি ফিটু, আব্দুল রশিদ , ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহফুজ রায়হানের সভাপতিত্বে এবং ফাউন্ডেশনের সভাপতি মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর ও নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি নূরুল ইসলাম বুলবুল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “স্বেচ্ছাসেবী প্ল্যাটফর্ম হলো একটি মানবিক উদ্যোগ, যেখানে মানুষ নিঃস্বার্থভাবে সমাজের কল্যাণে কাজ করে। এটি শুধু ব্যক্তিগত নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ জাগ্রত করে না, বরং সামাজিক ঐক্য, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার পরিবেশ গড়ে তোলে। তরুণদের জন্য এটি নেতৃত্ব ও অভিজ্ঞতা অর্জনের এক চমৎকার মাধ্যম, যা ভবিষ্যতে দক্ষ ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার পথ সুগম করে। স্বেচ্ছাসেবীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী কিংবা অন্য যেকোনো সংকটে তাৎক্ষণিক সাড়া দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়, যা একটি সহনশীল ও সহানুভূতিশীল সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

তিনি বলেন, “রক্তদানের ক্ষেত্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জ খুবই অগ্রসর, আর এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে এই মানবতার সংগঠন—চাঁপাই ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশন।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আরএমও ডা. আব্দুস সামাদ, ডা. জহির রায়হান এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল। এছাড়া জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সমাজসেবীরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. মাহফুজ রায়হান বলেন, “স্বেচ্ছাসেবী প্ল্যাটফর্মকে আরও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে এটি দীর্ঘমেয়াদী টেকসই ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।”

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে কেক কাটার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post