ঝিনাইদহে জাল সনদে চাকরি করছেন ১০ শিক্ষক বেতন নিচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা তদন্ত নেই!

মোঃ অমিদ হাসান ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত একাধিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদ ব্যবহার করে শিক্ষকতা করছেন অন্তত ১০ জন। বছরের পর বছর ধরে এমপিও সুবিধা নিয়ে চললেও এখনো পর্যন্ত প্রশাসনিকভাবে তেমন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের অনিয়ম শুধু শিক্ষার মানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, সরকারের আর্থিক ক্ষতিও বাড়িয়ে দেয়। তদন্তে উঠে এসেছে, এ সকল শিক্ষক নকল বা অবৈধ শিক্ষাগত সনদ দিয়ে নিয়োগ পেয়েছেন এবং মাসিক বেতনের পাশাপাশি কল্যাণ ট্রাস্ট, অবসর সুবিধা ও অন্যান্য সরকারি অনুদানও গ্রহণ করেছেন।

সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির গাফিলতির কারণেই এ ধরনের দুর্নীতি দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুসারে, এই ১০ জন শিক্ষককে বেতন বাবদ সরকারি কোষাগার থেকে অন্তত ৩০ লাখ টাকার বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে।

একাধিক স্কুলে দেখা গেছে, জাল সনদধারী এই শিক্ষকরা আজও শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করছেন। আবার কেউ কেউ পূর্বের স্কুল থেকে অব্যাহতি নিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে পুনরায় নিয়োগও পেয়েছেন।

স্থানীয় অভিভাবকরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,

যারা ভুয়া সনদে শিক্ষকতা করে, তারা ছাত্রদের কী শেখাবে? প্রশাসনের কঠোর নজরদারি জরুরি।”

উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি কর্তৃক ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় ৬০০ শিক্ষক-কর্মচারীর জাল সনদের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। তবে ঝিনাইদহে তার বাস্তবায়ন এখনও আশানুরূপ নয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post