মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়া ঘাটের বেহাল দশা,নদী পারাপারে চরম ভোগান্তি

মো:রুবেল মিয়া স্টাফ রিপোর্টারঃ 
কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়াঘাট ধরে প্রতিদিন হাজারো মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। প্রায় ৩৫ গ্রামের কেউ না কেউ প্রতিদিন  এই পথে যাতায়াত করে। মির্জাপুর উপজেলায় সবচেয়ে জনবহুল রাস্তা এটি। কিন্তু এই খেয়া পার হতে মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। জরুরী চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা রোগীর অভিভাবকগণ পড়েন চরম বিপাকে। অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া তাদের যেন আর কিছু করার থাকেনা। বর্ষা এলেই পারাপারের মানুষগুলো চরম আতঙ্কে দিন কাটায়।সবাই জানে এখানে জীবনের নিরাপত্তা নেই, যেকোনো সময় ঘটতে পারে নৌকা ডুবির মত অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

নদীর দুই পাড় বাঁধাই করার কারণে বর্ষা শুরু না হতেই এবার নদীতে স্রোত বেড়েছে কয়েকগুন।

বিগত ৫০ বছর যাবত যারা এই ঘাটে পারাপার করছে সেই মাঝিরাও এবার নদীতে নৌকা ধরতে সাহস হারাচ্ছে। তারা বারবার ক্ষমা চাচ্ছে এই কথা বলে যে আমরা এই ঘাটে নৌকা চালাতে পারবো না।প্রয়োজনে আমরা না খেয়ে থাকবো অথবা অন্য কাজ করে খাব। কিন্তু আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়ে ঘাট সচল রাখা জরুরি হয়ে পড়ে। 

 ৫ জুন বৃহস্পতিবার ২০২৫ ঘাটের এই বেহাল দশার খবর পেয়ে মির্জাপুর পৌর প্রশাসক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো:মাসুদুর রহমান উপস্থিত হন। ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পর তিনি কুমুদিনী কর্তৃপক্ষের সাথে এক মত বিনিময় সভায় বসেন।এসময় মির্জাপুরের সাবেক সাংসদ (জাতীয় শিশু বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি বিএনপি) আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী। পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ হযরত আলী মিয়া,এসএম মহসিন  সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংস্থার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাসুদুর রহমান ও সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীর হস্তক্ষেপে প্রতিদিন ৪ হাজার টাকা করে ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে ১০ দিনের জন্য খেয়া পারাপারের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। 

মাত্র ১০দিন চলবে কুমুদিনী হাসপাতাল খেয়া পারাপার। এতেই এত আয়োজন। তারপর কি হবে কেউ জানে না। ওপাড়ে বাবুবাজারের দোকানপাট গুলোর অচল অবস্থা। সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা আর কতদিন চলবে। এলাকাবাসী একটি স্থায়ী সমাধান চায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post