খ্রিস্টান মিশনারীর গুপ্ত এজেন্ট রোহিঙ্গা সাইফুলের গ্রেফতার দাবি কক্সবাজার ছাত্র মজলিসের

নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার | ১৩ আগস্ট ২০২৫ (বুধবার)
কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুসলমানদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরের অভিযোগে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে কক্সবাজার ছাত্র মজলিস। সংগঠনটি বলছে, এই কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকি।

এই দাবিতে ১৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পুলিশ সুপার অসুস্থ থাকায় তার পক্ষ থেকে জনাব জসিম উদ্দিন পিপিএম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

ছাত্র মজলিসের অভিযোগ, রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত সাইফুল ইসলাম, পিতা ডোল ফকির, ২০১২ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়। পরে ডোল ফকির, সেলিম আদনান ও সাইফুল ইসলাম মিলে কুতুপালং রেজিস্ট্রার ক্যাম্পে অন্তত ৪০টি রোহিঙ্গা পরিবারকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর করে।

২০১৯ সালে ধর্মান্তর কার্যক্রমে বাধা দিলে ক্যাম্পে খ্রিস্টান ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে খ্রিস্টান পক্ষ ৬৭ জন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা করে, যা এখনও চলমান।

অভিযোগ রয়েছে, ধর্মান্তরিত পরিবারগুলোকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ক্যাম্পে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে আবেদন করা হয় এবং পরে ৬৫ পরিবারকে ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হয়।

ছাত্র মজলিসের দাবি, সাইফুল ইসলাম গোপনে আন্তর্জাতিক সংগঠন ক্রাইসিস গ্রুপ-এর হয়ে কাজ করে, বিদেশি এনজিওদের কাছে ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ তথ্য সরবরাহ করে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মিথ্যা সাক্ষাৎকার দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। এমনকি সীমান্তপারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়,
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমরা কক্সবাজার ছাত্র মজলিস এই জঘন্য অপরাধের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে সাইফুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ছাত্র মজলিস আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তারা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন