কলেজ শিক্ষিকার বিতর্কিত মন্তব্যে নাস্তিক তাসলিমা নাসরিনের বাজে প্রতিক্রিয়া

মুনতাসিম তানিম :নাগেশ্বরী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা কলেজের ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষিকা মিসেস লাকি খাতুন(৪৫)সামাজিক মাধ্যমে পর্দা প্রথা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন, 

এদিকে ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে আবার নতুন বাজে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নাস্তিক লেখিকা তাসলিমা নাসরিন 

মিসেস লাকি খাতুন তার facebook স্ট্যাটাসে লেখেন, চেহারাই যদি এভাবে ঢাকতে হয় তাহলে আল্লাহ চেহারা দিলেন কেন? মুখবিহীনভাবেই নারীদের তৈরি করতে পারতেন সৃষ্টিকর্তা। পর্দা প্রথাটা খুবই ভয়ংকর অশিক্ষিত প্রথা। সামান্য সেন্স দিয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যায়, এটি পুরুষেরা নিজেদের স্বার্থে নারীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে, অথচ নিজেরা তা মানে না। এটা আল্লাহর নামে পুরুষেরা নারীদের উপর চালিয়ে দিচ্ছে। যদি এটা সত্যিই আল্লাহর নির্ধারিত হতো, তবে নারীদের কচ্ছপের মতো খোলস দিয়েই সৃষ্টি করা হতো।”

এই মন্তব্য প্রকাশের পর তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ধর্মীয় ও সামাজিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।

 অনেকে একে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হিসেবে বিবেচনা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। 

বিক্ষুব্ধ অনেকে কলেজ প্রশাসনের কাছে লাকি খাতুনকে শিক্ষকতা পদ থেকে অপসারণের আহ্বান জানান।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লাকি খাতুন নতুন একটি পোস্টে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। তবে তার এই ক্ষমা অনেকেই গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।

এ বিষয়ে বাজে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নাস্তিক লেখিকা তসলিমা নাসরিন ফেসবুকে লেখেন, 

এখন লাকি খাতুনকে জিহাদিরা বলছে, সে নাকি তসলিমা নাসরিনের উত্তরসূরী। 

কেউ একটু নারীর অধিকারের পক্ষে কথা বললেই, যুক্তির কথা বললেই তাকে তসলিমা নাসরিন বলে গালি দেয় তারা। এখন জিহাদিরা তাকে খুঁজছে খুন করার জন্য।”

ঘটনাটি বর্তমানে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচিত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখার কথা জানানো হয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post