মোঃ ইব্রাহিম আলী, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ নাটোরের সিংড়ায় মসজিদ, কবরস্থান ও কওমী মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে আসাদ ও নাহিদ দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ আসাদ গ্রুপের হামলায় নাহিদ গ্রুপের নাহিদের বড় ভাই জাকির হোসেনের তিন কন্যা নামক একটি ইলেকট্রনিক শোরুম ভাংচুর সহ ৪ জন আহত হয়েছে।
উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিয়নের বড় আদিমপুর গ্রামে মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধায় বিয়াশ মাবিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাহিদ গ্রুপের আহতরা হলেন বড় আদিমপুর গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে জাকির হোসেন হোসেন (৪৫) ও জাকির হোসেনের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম (৪০), বড় আদিমপুর গ্রামের মৃত কাবিল উদ্দিনের ছেলে আজিম উদ্দিন (৪২) সহ একই গ্রামের পিয়াজু ব্যবসায়ী আব্দুল বারি(৪৫)। তবে আসাদ গ্রুপের দাবি এ ঘটনায় মোঃ রাকিব হোসেন (৩৫) ও হামিদুল (৩৫) নামের তাদেরও ২ জন আহত হয়েছে। তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানায়।
ঘটনাস্থল থেকে নাহিদ গ্রুপের আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের রেফার্ড করে রাত ৯ টায় শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বগুড়ায় প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় বড় আদিমপুর গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বড় আদিমপুর গ্রামের জামে মসজিদ, কবরস্থান ও একটি কওমি মাদ্রাসার কমিটি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে দু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধায় আসাদ গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে মাবিয়া মোড় এলাকায় প্রথমে পিয়াজু ব্যবসায়ী আব্দুল বারির দোকানে সামনে দাড়িয়ে থাকা নাহিদ গ্রুপের জাকিরকে হামলা করে এবং মাটিতে পড়ে গেলে পিয়াজু ভাজা গরম তেল তার শরীরে ঢেলে দেয়। এতে তার শরীর ঝলসে যায়। এসময় পিয়াজু ব্যবসায়ী এগিয়ে আসলে তাকেও মারপিট করে। পরে নাহিদের বড় ভাইয়ের তিন কন্যা ইলেকট্রনিক শোরুমে ভাংচুর চালায় এবং অগ্নি সংযোগের চেষ্টা করলে স্থানীয়দের বাঁধায় আসাদ গ্রুপ পালিয়ে যায়।
বিয়াশ মাবিয়ার মোড় বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন সহ স্থানীয় ব্যবসায়ী রমিজুল ও পল্লি চিকিৎসক মামনু জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করছি।
এ ঘটনায় বুধবার (২৮ মে) দুপুরে নাহিদ বাদী হয়ে বড় আদিমপুর গ্রামের মোঃ আবজাল হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে মোঃ শাওন সহ ১৪ জনকে আসামী করে সিংড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সিংড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post a Comment