আশিকুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নসিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা সদর ইউনিয়ন রানিুপুরা গ্রামের মুফতি মোঃ মেহেদী হাছানের স্ত্রী মোছাঃ মেরিনা খাতুন তার স্বামীকে ফোন করে বাপের বাড়ি ডেকে নিয়ে তার ভাই নাজিম ও তার বন্ধুদের দিয়ে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন মারপিট ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
স্ত্রী মেরিনা খাতুন সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার সায়দাবাদ ইউনিয়ন বাঐতারা পূর্বপাড়া গ্রামের মোঃ ওমেদ আলীর মেয়ে। জানা যায় ৭ মাস পূর্বে মেহেদী হাছানের সাথে স্ত্রী মেরিনা খাতুনের বিয়ে হয়, বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে একটা ঝামেলা লেগেই থাকতো, স্বামী একজন মুফতি অন্যদিকে স্ত্রীর চলাফেরা ছিল বেপরোয়া, স্বামীর হুকুম আদেশ কিছুই মানতো না, এমনকি শ্বশুর শ্বাশুড়ি তাকে শাসন না করে তারাও মেহেদী হাছানের সাথে খারাপ ব্যবহার করতো, যার কারনে মেহেদী হাছান তার শ্বশুর বাড়ি বেশি যাইতো না।
আহত মুফতি মোঃ মেহেদী হাছানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, ঈদ উপলক্ষে আমার স্ত্রী মোছাঃ মেরিনা খাতুন তার বাপের বাড়ি গিয়েছে, শ্বশুর বাড়ির আচার ব্যবহার তেমন সুবিধাজনক না হওয়ায় আমি তাদের বাড়িতে যাইনা, আমার সম্মান নিয়ে আমি থাকি, কিন্তু এতে তাদের সাথে ইতিপূর্বে কোন ঝগড়াঝাটি হয়নি, ১২জুন বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে স্ত্রী মেরিনা খাতুন আমাকে ফোন করে বলে আমি সায়দাবাদ এসে রাস্তায় দাড়িয়ে আছি তারাতাড়ি আমাকে এসে নিয়ে যাও, তখন আমি মা-বাবা কে না জানিয়েই মোটর সাইকেল নিয়ে সায়দাবাদ পৌছা মাত্রই আমার স্ত্রীর ভাই ও তার বন্ধুরা সন্ত্রাসী কায়দায় আমার কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দিয়ে আমার হোন্ডা থেকে নামিয়ে তাদের হোন্ডায় তুলে তাদের বাড়িতে নিয়ে একই দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে জাহেলি যুগের অমানবিক নির্যাতন শুরু করে, আমি চিৎকার করায় শ্বশুরের কাঁধে থাকা গামছা আমার মুখে ভরে দিয়ে রাতভর দফায় দফায় নির্যাতন করে, আমার জ্ঞান হারিয়ে গেলে পানি ঢেলে সুস্থ করে আবার মারপিট শুরু করে, আমি ইশারা করে পানি চাইলেও আমাকে পানিও দেয়নি, এমনকি এই অবস্থায় ট্রাকের নিচে ফেলে দিয়ে এক্সিডেন্ট বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু অনেকে এই মারপিটের কথা জানতে পারায় সেটা আর করতে পারেনি, পরের দিন আমাকে দিয়ে আমার বাবার কাছে ফোন দেওয়ায় পরে সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি করে।
মেহেদী হাছানের বাবা হযরত আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আমার ছেলেকে খুজে পাইনা এমনকি ফোনও বন্ধ, হটাৎ পরের দিন আমাকে ফোন করে আমার ছেলে বলে আমাকে জীবিত দেখতে চাইলে তারাতারি মেরিনাদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাও, তখন আমি চিৎকার দিয়ে বলি বাবা মেহেদী তুই আমাকে একটু সময় দে, তুই যে আমার কলিজারে বাবা তুই আমাকে রেখে মরতে পারিসনা, ফোন কেটে দিয়েই পাগলের মতো দিশেহারা হয়ে লোকজন সাথে নিয়ে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে বেলকুচি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তবে তার অবস্থা ভাল না বলে সবার কাছে তার ছেলের সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন।
এঘটনায় মেহেদী হাছান এর স্ত্রী শ্বশুর শ্বাশুড়ি সহ বাড়ির সবাই পালিয়েছে বলে জানা যায়।
Post a Comment