মোঃ আল আমিন ইসলাম নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের আওতাভুক্ত এস২টি সেচ প্রকল্পের ৬ মাস যেতে না যেতেই ময়লা, আবর্জনা, ড্রেন হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে সেচ ক্যালেনটি। এবং নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ধরেছে ফাটল ও নিজের থেকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়তেছে সেচ প্রকল্পটি। কাজটি প্রায় ৮ কিলোমিটার গত ২০২২ সালে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি শুরু করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অসীম সিং, তারা বিভিন্ন সময় কাজটি চলমান অবস্থায় বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি করে কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন।
অবশেষে তারা সে সময়ে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব আসপাদুল্লাহ, উপসহকারী প্রকৌশলী রকি ইসলামের নিয়ন্ত্রণে কাজটি চলে কিন্তু তারা দুজনেই বদলি হয়ে যায় অন্য জায়গায়। তারপরেই কাঁকড়া চৌপথি থেকে কাজটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীর নির্দেশনায় দেখাশুনা এবং দায়িত্ব নেন উপসহকারী প্রকৌশলী হাসেম আলী ও তিনি তার পক্ষ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে আগের অনিয়ম-দূর্নীতিকে রুখে দিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজটি বুঝিয়ে নেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। এবং এ পর্যন্ত কাজটি শেষ করতে পারিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজটি এখনো দুই থেকে তিন কিলোমিটার বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশন।
এ বিষয়ে সচেতন মহল বলতেছেন যেভাবে শুরুর দিকে কাজটি করা হয়েছে এভাবেই ভেঙ্গে পড়বে কারণ কাজটিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে। এবং এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ময়লা আবর্জনার ড্রেন হিসাবে তা দিয়ে কোন উপকারেই আসতেছে না এলাকার জনগণের। কিন্তু এ কথা থেকে যায় যেখানে সরকার জনসাধারণ কৃষকদের কথা চিন্তা করে কোটি, কোটি টাকা খরচ করে জনগণের সুবিধার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে সেচ প্রকল্পগুলি দেওয়া হয়। কিন্তু তা কোন কাজেই আসতেছে না, অত্র এলাকার কৃষকদের।
Post a Comment