খাগড়াছড়িতে ৬৬ ভারতীয় নাগরিকের অনুপ্রবেশ: দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিকের অনুপ্রবেশ দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মো. মোস্তফা আল ইহযায। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে মোস্তফা আল ইহযায বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বহু বাংলাদেশিকে সীমান্তে হত্যা করেছে। এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। তিনি অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করার প্রয়াস।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর ৫টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ৩ পরিবারের ২৭ জন এবং পানছড়ির তিনটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরও ৩৯ জন ভারতীয় নাগরিক অনুপ্রবেশ করেন। অনুপ্রবেশকারীরা জানান, তারা ভারতের গুজরাট রাজ্যের বাসিন্দা এবং গুজরাটি ও বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেন।

সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের প্রধান আরও বলেন, "সব ক্ষেত্রে মানবিক দিক বিবেচনা করা যায় না। আজ ৬৬ জন অনুপ্রবেশ করেছে, কাল এটা ৬ হাজার বা ৬ লাখে পৌঁছাতে পারে। অতীতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আমরা আজ বড় সংকটে পড়েছি। তাই আমরা চাই না এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক।"

তিনি বিজিবির প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা এই ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত সময়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। একইসঙ্গে বিজিবিকে এ বিষয়ে জাতির সামনে স্পষ্ট বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে, অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিরা প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে বিজিবি তাদের হেফাজতে নেয়। অনুপ্রবেশের এই ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

মোস্তফা আল ইহযায বলেন, "যেখানে বিশ্বের কোনো দেশ এভাবে মানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখায় না, সেখানে আমরা ছোট একটি দেশ কেন বারবার মানবিকতার নামে সার্বভৌমত্বকে হুমকি

র মুখে ফেলব?"

Post a Comment

Previous Post Next Post