নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ১১ জুলাই ২০২৫, শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ, ঢাকা অহনো দি সহ-সভাপতি দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে ও পিসিসিফিঢাকা মহানগর শাখার সাধারন সম্পাদক রিয়াজুল হাসানের সঞ্চলনায় পিসিসিপি, ঢাকা মহানগর শাখার আয়োজনে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি, পিসিসিপি'র কেন্দ্রীয় সভাপতি মো শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ ও সম্মানিত অতিথি, স্টুডেন্ট ফর সাভারেন্টির আহ্বায়ক জনাব জিয়াউল হক। প্রধান বক্তা, পিসিসিপি'র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর সভাপতি জনাব মো রাসেল মাহমুদ, সম্মানিত বক্তা, পার্বত্য চট্টগ্রামের গবেষক ও সংগঠক জনাব হোয়াই চিং মং এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি জনাব আলমগির হোসেন, পিসিসিপি বান্দারবান জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব রফিকুল ইসলাম, পিসিসিপি লামা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জনাব আরমান হোসেন, বিশেষ বক্তা, পিসিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সিঃসহ-সভাপতি জনাব আল আমিন।
প্রধান অতিথি মোঃ শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ বলেন, দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পাহাড়ি-বাঙালির আশাবাদ থাকলেও, কিছু উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত এই প্রত্যাশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
তিনি বলেন, ২৩ জুন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় 'ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে 'জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট' করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া নতুন অধ্যাদেশে ৬ সদস্যের পরিচালনা কমিটিতে সবাইকে কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি থেকে মনোনয়নের বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধান বক্তা রাসেল মাহমুদ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করে আসছে উপজাতিয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠি এবং বিভিন্ন মহল ডাইভার সিটির নামে পাহাড়ের উন্নয়নে পর্যটন মুখি না করে জনশূন্য করে রাখতে চাচ্ছে। তারা শিল্প কারখানা হতে দিচ্ছে না যা হাজার হাজার বেকারত্ব দূর করবে। গুচ্ছগ্রামে ৩ বছর থাকার কথা বলে আজা ৩৫ বছর ধরে তাদের অবহেলায় লাঞ্জনায় লাঞ্ছনায় রাখা হয়েছে।
সংগঠন মনে করে, এটি সংবিধানবিরোধী ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ- যা একদিকে আদিবাসী স্বীকৃতির গোপন পথ তৈরি করছে, অন্যদিকে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালি জনগোষ্ঠীকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক বঞ্চনার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী-র ভূমিকা নিয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য ও নীতিগত অবস্থান সংবিধানের ৬(২) অনুচ্ছেদের বিরোধী এবং গোষ্ঠীগত পক্ষপাতমূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। বক্তারা অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয়ের ৯০% বাজেট বরাদ্দ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিতরণ করা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিসমহ নিম্নরূঃ
১. 'জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ ২০২৫' বাতিল করতে হবে।
২. কেবলমাত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির ৬ জন সদস্য মনোনয়নের বিধান বাতিল করতে হবে। ৩. উপদেষ্টাদের বিতর্কিত ভূমিকায় নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট বণ্টনের বৈষম্যের নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক পুনর্বিন্যাস নিশ্চিত করতে হবে
Post a Comment