মোঃ অমিদ হাসান ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ যশোর শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজে নারীসহ ধরা পড়ার ঘটনায় ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলামকে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়লে পুলিশের ভাবমূর্তিও প্রশ্নের মুখে পড়ে।গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় এক নারীসহ যশোরের একটি রেস্ট হাউজে ওঠেন ওসি সাইফুল। ওই সময় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওসিকে রুমে আটকে রাখেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চলছিল। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওসির দাবি
সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, “আমি আমার বন্ধুকে নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলাম। এখানে কোনো অনৈতিক কিছু হয়নি।” তিনি বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত।রেস্ট হাউজের সিসিটিভি ফুটেজ ও ঘটনাস্থলে ধারণকৃত ভিডিওতে ওসিকে নারীর সঙ্গে দেখা যায়। বাইরে উপস্থিত নেতারা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উত্তেজিত পরিস্থিতিতে ওসিকে রুমের মধ্যে আটকে রাখেন।তদন্তে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন ঘটনার পরপরই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। যশোর-ঝিনাইদহ পুলিশ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যাহার এখনো নয়, তবে চাপ বাড়ছে
তবে এখন পর্যন্ত ওসি সাইফুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার বা বদলি করা হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে।
জনমত ও প্রতিক্রিয়া“একজন পুলিশ কর্মকর্তা যদি এভাবে আচরণ করেন, তাহলে জনগণের নিরাপত্তা কোথায়?” — স্থানীয় নাগরিক “দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক”— সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা
Post a Comment