খ্রিস্টান মিশনারীর এজেন্ট রোহিঙ্গা সাইফুলের গ্রেফতার দাবি সার্বভৌমত্ব রক্ষা ছাত্র আন্দোলনের

রাসেল আহমেদ কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার | ২০ আগস্ট ২০২৫ (বুধবার)
কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মুসলমানদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরের অভিযোগে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সার্বভৌমত্ব রক্ষা ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটি বলছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকি।

এই দাবিতে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট ২০২৫) রোহিঙ্গা বিষয়ক দপ্তর—শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (RRRC) মিজানুর রহমানের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে গত ১৩ আগস্ট একই দাবিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল।

সংগঠনটির অভিযোগ, রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত সাইফুল ইসলাম (পিতা: ডোল ফকির) ২০১২ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের সঙ্গে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে ডোল ফকির, সেলিম আদনান ও সাইফুল ইসলাম মিলে কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে অন্তত ৩৫-৪০টি পরিবারকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করে।

২০১৯ সালে ধর্মান্তর কার্যক্রমে বাধা দিলে ক্যাম্পে খ্রিস্টান ও মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় খ্রিস্টান পক্ষ ৬৭ জন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা করে, যা এখনও চলমান।

এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, ধর্মান্তরিত পরিবারগুলোকে বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ক্যাম্পে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে আবেদন করা হয় এবং পরে ৬৫ পরিবারকে ট্রানজিট ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হয়।

সার্বভৌমত্ব রক্ষা ছাত্র আন্দোলনের দাবি, “পিটার সাইফুল” নামেও পরিচিত এই ব্যক্তি গোপনে আন্তর্জাতিক সংগঠন ক্রাইসিস গ্রুপ-এর হয়ে কাজ করছে। বিদেশি এনজিওদের কাছে ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ তথ্য সরবরাহ করছে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মিথ্যা সাক্ষাৎকার দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। এমনকি সীমান্তপারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি-র সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এছাড়া সংগঠনটির অভিযোগ, ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সাথেও একাধিকবার জড়িত ছিলেন সাইফুল।

সার্বভৌমত্ব রক্ষা ছাত্র আন্দোলন জানায়—
 “বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমরা এই জঘন্য অপরাধের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে সাইফুল ইসলাম ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

সংগঠনটি আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে তারা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন