পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র-সালাহউদ্দিন আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা  | ১০ আগস্ট ২০২৫ (রবিবার)
ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে অশান্ত করতে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে অশান্ত করতে এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আদিবাসী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রসঙ্গ ও জাতীয় নিরাপত্তা ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় তিনি ‘আদিবাসী’, ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. নাঈম আশফাক চৌধুরী।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে অশান্ত করতে একটা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এ থেকে বাঁচতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। শুধু ভাষার মাধ্যমে কোনো জাতি গঠন হয় না। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সবাইকে নিয়েই গঠিত হয় জাতি। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে বলে নিজেদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির সময় এখন নয়। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিক্রি হয়েছে গত ৫০ বছর। এখন সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গঠনের।’

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে আদিবাসী শব্দটি স্বীকৃত নয়, বরং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতির পর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সেই জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা করতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কনভেনশন ১৬৯-এর আওতায় আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীগুলো নিজস্ব অঞ্চল, সম্পদ ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষাসহ তাদের বিশেষ অধিকারের কথা বলা রয়েছে, যা বাস্তবায়ন হলে এ জনগোষ্ঠী স্বায়ত্তশাসন দাবি করতে পারে, এতে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তারা আলাদা জাতীয় পরিচয়ের দাবি করতে পারে। এতে দেশের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের ঐক্য দুর্বল হয়ে পড়বে, যা জাতীয় সংহতির জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

এ সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা বলেন, আমাদের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে বিতর্কিত আদিবাসী প্রসঙ্গটি স্বীকৃতি দিলে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক ফজল, লেবার পার্টির সভাপতি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুইথি কারবারী প্রমুখ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন