মালিক থেকে শ্রমিকে রূপান্তর করার প্রজেক্ট হচ্ছে বন্দর বিদেশীদের হাতে লিজ দেয়া - স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি

নয়া বাংলা ডেস্ক 
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫(বুধবার)
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি অপারেটরের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে শিক্ষার্থী সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি। সংগঠনটির দাবি, এটি দেশের মালিকানা হারিয়ে শ্রমিকে পরিণত হওয়ার এক ভয়াবহ প্রজেক্ট।

সংগঠনটির আহ্বায়ক জিয়াউল হক বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের মতো একটি লাভজনক ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়া মানে আমাদের নিজস্ব সক্ষমতা ধ্বংস করা। বিদেশিরা লাভ নেবে, আমরা তাদের অধীনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করব—এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।”

তিনি আরও বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশীয় অপারেটরদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা ধ্বংস হয়ে যাবে। এতদিন আমরা বন্দর পরিচালনার মালিক ছিলাম, এখন আমাদের জোর করে শ্রমিকের কাতারে নামানো হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”

সরকারের দাবি বিদেশিদের দিলে বান্দরের সক্ষমতা বাড়বে। কিন্তু সংগঠনটির মতে, “আমরা অলরেডি বন্দর পরিচালনায় দক্ষ। বরং আমরা বিদেশীদের শেখাতে পারি। আমাদের অভিজ্ঞতা ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাফল্যই তার প্রমাণ।”

“যদি সত্যিই শেখার প্রয়োজন হয়, তাহলে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের অল্প সময়ের জন্য হায়ার করা যেতে পারে। কিন্তু এজন্য দেশের সম্পূর্ণ বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।”

স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি মনে করে, বন্দর লিজ দেওয়া কোনো সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নয়, বরং এটি এক ধরনের পুঁজিবাদী আগ্রাসন। তারা ইতিহাসের উদাহরণ টেনে বলেন, “ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেমন আমাদের মালিকানা কেড়ে নিয়ে শ্রমিকে পরিণত করেছিল, আজকের এই নীতি তেমনই বিপজ্জনক।”

সংগঠনটি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য এবং এ বিষয়ে খোলামেলা সংলাপে বসার আহ্বান জানায়। তারা বলেন, “আমরা চাই যুক্তিনির্ভর আলোচনায় বসতে। সরকার যদি লজিক্যাল ব্যাখ্যা দিতে পারে, আমরা বিরোধিতা করব না। কিন্তু অযৌক্তিকভাবে দেশের মালিকানা বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না।”

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন