মোঃ ইব্রাহিম আলী, সিংড়া (নাটোর)প্রতিনিধি:
হেমন্তের শেষে শীতের হাওয়া বইতে শুরু করতেই নাটোরের সিংড়ায় বেড়েছে লেপ-তোষক বানানোর ধুম।প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। নতুন লেপ-তোষক বানানো, গদি তৈরি এবং পুরোনো লেপ ভরাট করানোর জন্য সকাল থেকেই দোকানগুলোতে দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়।
সরেজমিনে সিংড়ার তুলা পট্রি এলাকায় দেখা যায় নয়ন বেডিং স্টোর, খান বেড স্টোর, নিউ খান বেড স্টোরসহ অন্তত ছয়টি দোকানে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তুলা ও কাপড় বাছাই থেকে শুরু করে দামদর ঠিক করা সব মিলিয়ে ব্যস্ততা বাড়ছে দোকানগুলোর।
নিউ খান বেড স্টোরের মালিক ওমর ফারুক বলেন,মৌসুম পুরোপুরি শুরু না হলেও ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। লেপ বানাতে ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ টাকা খরচ পড়ে। ছোট লেপ পাওয়া যায় ৯০০ টাকায়।
রাখালগাছা থেকে আসা ক্রেতা আলেয়া ও মজনু দম্পতি বলেন,একটি লেপ আর তোষক বানাতে এসেছি। তুলা আর কাপড়ের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে।
খান বেড স্টোরের মালিক আনিসুর রহমান জানান,এ বছর সব উপকরণের দাম বাড়ায় লেপ-তোষক তৈরির খরচ ২০০–৩০০ টাকা বেড়েছে। প্রতিটি লেপে গড়ে ২০০–৩০০ টাকা লাভ থাকে।তুলা পট্রি ছাড়াও সিংড়ার জামতলী, বিয়াশ ও শেরকোল বাজারের দোকানগুলোতেও ভিড় বাড়ছে।এসব বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান শিমুল তুলা:২৮০–৩০০ টাকা কেজি মেল কাপার্স: ১২০–১৩০ টাকা গার্মেন্টস তুলা: ৫০–৭০ টাকা ফোম: ১০০–১৫০ টাকা কাপড়: আম শালু ৬০, তানজিল শালু ৫০, মোবাইল শালু ৫০ টাকা গজ ৪–৫ হাত লেপ সেলাই মজুরি:২৫০–৩০০ টাকা।
বিয়াশ বাজারের সান তুলা ও ফোম ঘর-এর মালিক শাহরিয়ার হোসেন বলেন,সারা বছর কিছু কাজ থাকলেও শীত মৌসুমই মূল ব্যবসা। এখন দিনে ৩–৪টি লেপ বানাচ্ছি। শীত বাড়লে প্রতিদিনই ১০–১৫টি লেপ তৈরি করতে হবে।
শীতের আমেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সিংড়ার লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে যে মৌসুমি ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে, তা শীতের পুরো মৌসুমজুড়ে আরও বাড়বে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন