মুতাসিম বিল্লাহ তানিম কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় চলমান চোরাচালান ও মাদক বিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল ০২টি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভারতীয় ফেন্সিডিল ও গাঁজা জব্দ করেছে। মাদক চোরাচালান প্রতিরোধের মাধ্যমে সীমান্ত নিরাপত্তা ও মাদকবিরোধী অভিযানে বিজিবি’র দৃঢ় অবস্থানের প্রমাণ মিলেছে। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে বিজিবি জানতে পারে যে, চোরাকারবারীরা সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার করবে। উক্ত তথ্যানুযায়ী, ০৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ০৯:৪৫ মিনিটে শিংঝাড় বিওপি’র আওতাধীন দক্ষিণ (মানিক কাজী) ভুরুঙ্গামারী,-কুড়িগ্রাম নামক স্থানে বিজিবির টহলদল অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালীন কতিপয় সন্দেহজনক ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে বিজিবি টহল দলের সদস্যরা ধাওয়া করলে চোরাকারবারীরা তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে দৌড়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। পরবর্তীতে ফেলে রাখা মালামাল তল্লাশী করে ভারতীয় ফেন্সিডিল ৯৪ বোতল উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, একই দিন সন্ধ্যা আনুমানিক ০৭:৩০ মিনিটে বালারহাট বিওপি’র আওতাধীন পূর্ব ফুলমতি
(থানা-ফুলবাড়ী, জেলা- কুড়িগ্রাম) নামক স্থানে অভিযান পরিচালনাকালীন সন্দেহভাজন একটি বাইসাইকেল আসতে দেখে বিজিবি টহল দল থামানোর নির্দেশ দিলে চোরাকারবারী বাইসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত বাইসাইকেল হতে ভারতীয় গাঁজা ৩.২ কেজি উদ্ধার করা হয়।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন(১৫ বিজিবি) এর অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত পণ্য ভারতীয় ফেন্সিডিল ৯৪ বোতল, যার বাজার মূল্য ৩৯,৬০০/- টাকা, ভারতীয় গাঁজা ৩.২ কেজি, যার বাজার মূল্য ১২,২০০/- টাকা, ও বাইসাইকেল ১টি, যার বাজার মূল্য ৮০০০/-টাকাসহ সর্বমোট বাজার মূল্য ৫৯,৮০০/- টাকা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারীদের তথ্য সংগ্রহপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার “লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম, পিএসসি” বলেন, “দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বিজিবি’র গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।”
এছাড়া তিনি স্থানীয় জনগণকে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা এবং প্রতিরোধে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং গোপন তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।
এই অভিযানে বিজিবির সাহসিকতা ও কৌশলগত দক্ষতা প্রশংসার , যা মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন