আই আই ইউ সি তে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা অব্যাহত!

গোলাম মোস্তফা, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, আই আই ইউ সি
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫(রবিবার)
বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত কিছু শিক্ষক ও কর্মকর্তার সরাসরি সহযোগিতায় আবু রেজা নাদভী কর্তৃক আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম দখলে নেয়া হয়। ওই সকল কর্মকর্তা ও শিক্ষক অতীতেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা ভোগ করেছিল। আবু রেজার সময়কালে তার সহযোগী ঐ সকল কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের ইন্দনে সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হেনস্থা করা হয়, অনেককে চাকরিচ্যুত করা হয়, প্রমোশন বঞ্চিত রাখা হয়। 
জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়টি দখলে নেন বৈধ প্রশাসন। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় হল আবু রেজা নাদভীকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতাকারী ঐ সকল দুর্বৃত্তদের অনেককেই পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে, আবার অনেককে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে।
 ইতিমধ্যে মাহফুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনরায় অফিস করা শুরু করেছেন এবং প্রমোশন পেয়েছেন!
বহাল তবিয়তে আছেন আতাউর রহমান নদভী এবং নাজমুল হক নদভীরা।
নদভী আমলে কোন ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ পাওয়া অনেক শিক্ষক কর্মকর্তা কে এই প্রশাসন পুনরায় নিয়োগ দিয়েছেন।
 বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আবু রেজা আমলের সহকারি প্রক্টর আমজাদ হোসেন এখনো দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সময়ে অবৈধ এবং কোন ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তার স্ত্রীকে অর্থনীতি ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। চাহিদা না থাকায় ডিপার্টমেন্ট তার নিয়োগকে কন্টিনিউ করেনি। কিন্তু অতি সম্প্রতি বিভাগের পক্ষ থেকে একজন পুরুষ শিক্ষক চাওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং রেজিস্টার, আমজাদের স্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিভাগের চাহিদা কে অবজ্ঞা করে একজন মহিলা শিক্ষকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন! যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বিরল এবং ইউজিসির নীতিমালার লঙ্ঘন।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহানের শ্যালক, বিবিএর সহযোগী অধ্যাপক জাহিদ হোসেন ভূঁইয়ার ইন্দনে বর্তমান ভিসি এবং রেজিস্টার ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।
 সহকারি প্রক্টর আমজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের উপহার দিয়ে থাকেন। ভিসি সাহেবের বাসায় তার নিয়মিত যাতায়াত রয়েছে! নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন ,আমজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসায় বিভিন্ন সময়ে ইলিশ মাছ, শাকসবজি, এবং দামি উপহার পৌঁছে দিয়ে আসেন।

 এছাড়াও আগের প্রশাসনের অবৈধ সুবিধাভোগী মাশরুর মাওলা, আফজাল এবং মাহিউদ্দিনকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসনকে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন এই জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া। উল্লেখ্য যে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স করা জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া বর্তমানে বিবিএ এর সহযোগী অধ্যাপক ,এটিও একটি ইউজিসি নীতিমালার লঙ্ঘন। বিশ্ববিদ্যালয়টি কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য এই সকল বিষয়গুলোর সুষ্ঠু তদন্ত আশা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
 সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরাও বর্তমান প্রশাসনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিরক্ত। তাদের মধ্যেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন